উত্তর জনপদের অবিভক্ত বাংলার প্রাচীন শহর রংপুর এর অন্যতম শিক্ষায়তন “রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ”। এ অঞ্চলের কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের জন্য বৃটিশ ভারতের তৎকালীন তাজহাট রাজবাড়ী জমিদার গোবিন্দ লাল ১৮৬৫ সালে “গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৬৮ সালে রংপুর জেলার ইংরেজ প্রশাসক রবার্ট বেলী কে জমিদার গোবিন্দলাল মহাশয় অত্র প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রন জানিয়ে তার সম্মানার্থে নামকরণ করেন “বেলী গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল”। এবং তারই পৃষ্ঠপোষকতায় এ টেকনিক্যাল স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯০৯-১০ সালের তৎকালীন বৃটিশ ভারত শিক্ষা জরিপের তথ্য মতে এ প্রতিষ্ঠানটিই ছিল অত্র অঞ্চলের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের একমাত্র স্কুল। স্কুলটির বিশেষ খ্যাতির জন্য তৎকালীন ভারতের “শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ” কর্তৃক স্বীকৃতি পায়। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করে রংপুর জেলা বোর্ড। কালের পরিক্রমায় শত বছর পেরিয়ে ১৯৬২ সালে এর নামকরণ হয় “রংপুর টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট” ১৯৬৫ সালে একই শিক্ষায়তন ও ক্যাম্পাসে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং গভঃ কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ১৯৮৪-৮৬ সালে যথাক্রমে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং গভঃ কমার্শিয়াল কলেজ অন্যত্র চলে গেলে শুধু ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হিসেবে থেকে যায়। পরবর্তিতে এই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটটি ২০০৪ সালে রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নামে নতুন আঙ্গীকে যাত্রা শুরু করে নানাবিধ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান এস.এস.সি (ভোকেশনাল)-১০টি ট্রেড, দুই শিফটে (নবম-দশম), এইচ.এস.সি( ভোকেশনাল)-১০টি ট্রেড, ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং– ০৩টি টেকনোলজি ও ০৪টি অকুপেশনে ৩৬০ঘন্টা মেয়াদী শর্ট কোর্স চলমান রয়েছে।
বিভাগীয় শহর রংপুরের প্রাণ কেন্দ্রে নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায় অবস্থিত “রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ” যার পূর্ব দিকে রংপুর জেলা পরিষদ , পশ্চিম দিকে রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সম্মুখে রংপুর পুলিশ লাইন্স । প্রতিষ্ঠানটি বিভাগীয়/জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাত্র ৩০০ মিটার পূর্বে এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন হতে মাত্র ৫০ মিটার পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত। আন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত (APAC) প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫০০জন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS